history লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
history লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

মঙ্গলবার, ১৬ মার্চ, ২০২১

বাংলা চলচ্চিত্রের আইকন কানন বালা

বাংলা চলচ্চিত্রের আইকন কানন বালা


কানন দেবী (এপ্রিল ২২, ১৯১৬ – জুলাই ১৭, ১৯৯২), যিনি কানন বালা নামেও পরিচিত ছিলেন ।
 তিনি একজন ভারতীয় বাঙালি অভিনেত্রী এবং গায়িকা ছিলেন।
 তিনিই প্রথম নায়িকা দের মধ্যে একই সাথে গান ও অভিনয় করার ট্র্যাডিশন চালু করেন।

 তিনি ছিলেন বাংলা চলচিত্রের প্রথম সুপার স্টার , তখন কার দিনের মহিলা দের মধ্যে তিনি ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে ছিলেন। তার আভিজাত্য দেখে অনেকে তাকে অনুকরণ করতো।
মহিলারা তার ফ্যাশনে শাড়ি-ব্লাউজ পরা শুরু করেন। এমনকি কানের দুলও তৈরি করান তারা।

 সাধারণত দ্রুত লয়ে তার গান গাওয়ার ধরন নিউ থিয়েটার, কলকাতার ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করে। বহু প্রতিভার কানন দেবী অভিনয়ের পাশাপাশি নৃত্য এবং সঙ্গীতেও ছিলেন পারদর্শী। 

 প্রায় ৭০-এর অধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। এছাড়াও বিজ্ঞাপন চিত্রেও দেখা যায় তাকে। কানন দেবীর আত্মজীবনী সবারে আমি নমি। শিল্প মাধ্যমে অসাধারণ অবদানের জন্যে ভারত সরকার তাকে ১৯৬৪ সালে পদ্মশ্রী উপাধিতে ভূষিত করেন। ১৯৭৬ সালে তিনি দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার লাভ করেন। তাঁর অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচিত্র গুলি হল 
 ঋষির প্রেম
 প্রহলাদ
 কংসবধ
 বিষ্ণুমায়া
 মা 
কণ্ঠহার
 বাসবদত্তা
 বিষবৃক্ষ
 পরাজয়
 যোগাযোগ 
মুক্তি (১৯৩৭) 
বিদ্যাপতি
 সাথী
 পরিচয় 
শেষ উত্তর 
মেজদিদি
 ১৯৪৮ সালে তিনি শ্রীমতি পিকচার্স গড়ে তোলেন যার বেশির ভাগ ছবিই ছিল শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের কাহিনী অবলম্বনে।এই কোম্পানীর ছবিতে তিনি কেবল অভিনয় ও প্রযোজনাই করেন নি, তিনি পরিচালনাও করেন।

সোমবার, ১৩ এপ্রিল, ২০২০

birthday of mahenjodaro's discover

মহেঞ্জোদারো র বাঙালি আবিষ্কর্তা র জন্মদিন ১২ ই এপ্রিল
আপনি মহেঞ্জোদারো ফিল্ম দেখেছেন? যে ফিল্মে গ্রীক গড নামে পরিচিত হৃত্বিক রোশন অভিনয় করেছিলেন।
সেই মহেঞ্জোদারো জায়গার আবিষ্কর্তা কে চেনেন? সেই আবিষ্কর্তা র আজ জন্ম দিন। কজন জানি আমরা? এটাও কি জানেন তিনি এক জন বাঙ্গালী ছিলেন?
তাহলে আজ তার সম্বন্ধে জেনে নেই চলুন
১৯১৩ সাল। তখন ভারতে চলছে ব্রিটিশ শাসন। রাজদণ্ড থেকে ইতিহাস, সব জায়গাতে উড়ছে ইউনিয়ন জ্যাক। এই সময়ই সরকারি দফতরে একটি বিশেষ পদ খালি হল। বেশ ভারিক্কি নাম, ‘গভর্নমেন্ট এপিগ্রাফিস্ট’। আবেদনকারী ছিলেন বেশ কয়েকজন, ছিলেন এক বাঙালি যুবকও। আর্কিওলজিকাল সার্ভের সঙ্গে ছোটো থেকেই যুক্ত তিনি। দেশের প্রত্নতাত্ত্বিক মহলেও বিশেষ পরিচিত। কিন্তু এই চাকরি তিনি পাননি। জন মার্শাল খারিজ করে দেন সেই আবেদন। যুক্তি ছিল, বাঙালি যুবকটি সেরকম যোগ্য নয়। বিমর্ষ হয়ে ফিরতে হয়েছিল তাঁকে।
সুযোগ থেকে বঞ্চিত হলেন বাঙালি যুবকটি। অবশ্য তখনও তিনি জানতেন না, জীবনে কী অপেক্ষা করে আছে। প্রাচীন ভারতের এক নতুন ও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিকটির উন্মোচন হবে তাঁর হাত ধরে। তাঁর জন্য তখন মাটির নিচে অপেক্ষা করে আছে ‘মহেঞ্জোদাড়ো’!
রাখাল দাস বন্দ্যোপাধ্যায় ১৮৮৫ সালে ১২ এপ্রিল মুর্শিদাবাদ জেলার বহরমপুরের কালিমাটি গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন।
রাখাল দাসবন্দ্যোপাধ্যায় ১৯১০ সালে প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগের সহকারী হিসাবে কলকাতার ভারতীয় জাদুঘরে যোগদান করেছিলেন।তিনি ১৯১১ সালে ভারতের প্রত্নতাত্ত্বিক জরিপে সহকারী সুপারিনটেনডেন্ট হিসাবে যোগদান করেন এবং ১৯১৭ সালে তাকে পশ্চিমী সার্কেলের  সুপারিন্টেন্ডিং প্রত্নতত্ববিদ পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়।
মহেঞ্জোদাড়োতে গিয়েছে প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগের লোকজন।  তখনও কিছুই আবিষ্কৃত হয়নি, ধু ধু মাঠ। কিছু টুক টাক প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন আছে। প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগের ধারণা হল, এগুলো খুব বেশি নয়; বড়ো জোর দুশো বছরের পুরনো হবে।
 এদিকে রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়ও শুনলেন ওই জায়গার কথা।
মহেঞ্জোদাড়োতে পা দিয়ে, খানিক পর্যবেক্ষণের পর তাঁর অভিজ্ঞ চোখ বুঝল, এখানে যা আছে তা কিছুতেই দুশো বছরের হতেই পারে না। বহু পুরনো এখানকার সভ্যতা, বুদ্ধেরও আগেকার। মাটির তলাতেও নিশ্চিত লুকিয়ে আছে আরও সব ‘আশ্চর্য’। সেই শুরু, আস্তে আস্তে সামনে এল ভারত তথা পৃথিবীর বিস্ময়ের! উঠে এল মহেঞ্জোদাড়ো, হরপ্পা। ইতিহাসে আরও একটি নতুন সভ্যতা যোগ হল, ‘সিন্ধু সভ্যতা’। রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায় না থাকলে কী হত, তা বলা যায় না। অবশ্য আরও একজনের নাম নিতে হয় এখানে। দয়ারাম সাহানি। রাখালদাসের সঙ্গে চিরকালের জন্য জুড়ে গেছে যে নামটি। দুজনে মিলে একসঙ্গে কাজ করেছিলেন সেখানে। যার ফল, আজ আমাদের সামনে।
খননকার্যের ফলে মহেঞ্জোদারো সভ্যতার ন টি স্তর আবিষ্কৃত হয়েছে। অর্থাৎ প্রথমবার ধ্বংসের পর সেখানে আটবার সভ্যতা গড়ে উঠেছিল এই গুলিকে ক্রমান্বয়ে আবিষ্কারের পথ দেখান তিনি।
মহেঞ্জোদরো শহরটির পশ্চিম দিকে প্রায় 40 ফুট উঁচু একটি বিশালায়তন ঢিবির উপর একটি দুর্গ ছিল। অঞ্চলে কিছু ঘরবাড়ি ও আবিষ্কৃত হয়েছে সেগুলি শাসকদের বাসস্থান। এভাবেই আবিস্কারের তালিকা কখনো উঠে এসেছে রাস্তায় নর্দমা কখনো শ্রমজীবী মানুষদের বাসস্থান কখনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সভা কক্ষ এর মত জীবাশ্মের ছবি।
তার উল্লেখনীয় কৃতিসমূহঃ ২ খন্ডে বাঙ্গালার ইতিহাস, পাষাণের কথা, শশাঙ্ক ও ধর্মপাল।মহেঞ্জোদারো সভ্যতার সুপ্রাচীন ধংসাবশেষ আবিষ্কার তার শ্রেষ্ঠ কীর্তি। কুষান সম্রাট কণিষ্ক সম্পর্কে তিনি যে সব তথ্য আবিষ্কার করেন তা প্রামান্য বলে বিবেচিত হয়েছে। বাংলায় পাল রাজবংশ সম্পর্কিত বহু তথ্য তিনি আবিষ্কার করেন। পাহাড়পুরে খননকার্যের পরিচালক ছিলেন তিনি। মুদ্রাসম্বন্ধীয় বিষয়ে বাংলাতে প্রথম গ্রন্থ রচনা তার অন্যতম কৃতিত্ব।

শনিবার, ১১ এপ্রিল, ২০২০

Alauddin khilji's south invasion and destruction of hindu temples ( in Bengali)

আলাউদ্দিন খিলজী ও মালিক কাফুর এর দাক্ষিণাত্য অভিযান ও হিন্দু মন্দির ধংস এর ইতিহাস

হিন্দুরা ঐতিহাসিক ধর্মীয় নিপীড়ন এবং নিয়মতান্ত্রিক সহিংসতার অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে।  এগুলি জোরপূর্বক রূপান্তর, নথিভুক্ত গণহত্যা, মন্দির ধ্বংস ও মন্দিরের পাশাপাশি শিক্ষাগত কেন্দ্রগুলির ধ্বংসের আকারে ঘটেছিল।

ভারতীয় উপমহাদেশের উত্তরাংশে তখন দিল্লির সুলতানদের আধিপত্য কায়েম হয়েছে৷ খ্রিস্টীয় ত্রয়োদশ শতাব্দীর শেষদিকে মুসলীম শাসকরা তাদের সৈন্য নিয়ে মধ্য ভারতের দিকে অগ্রসর হওয়া শুরু করে৷ ১৩১০ থেকে ১১ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে আলাউদ্দিন খিলজির মুসলীম সেনাধ্যক্ষ মালিক কাফুর এবং তার শাহী দিল্লির সৈন্যদল আরো দক্ষিণে ভারতীয় উপদ্বীপের দিকে অগ্রসর হতে থাকে এবং লুঠতরাজ শুরু করে ও ধীরে ধীরে রাজ্যগুলিকে মুসলীম প্রভুর বার্ষিক করদ রাজ্যে পরিণত করা শুরু করে৷  

এই সময়ে মাদুরাই, চিদম্বরম, শ্রীরঙ্গম প্রভৃৃতি তামিল শহরে আক্রমন করেন এবং মন্দির ধ্বংসর সাথে সাথে সোনা-গয়না লুঠ করে দিল্লিতে নিয়ে আসেন৷ চতুর্দ্দশ শতকের মুসলিম আক্রমন ছিলো তামিল হিন্দু মন্দির নগরীগুলির ঐতিহ্য সংরক্ষণের অযাচিত বিপত্তি৷ তামিল হিন্দু সম্প্রদায় একাধিক শহর রক্ষা করতে সক্ষম হলেও মাদুরাই এর মতো বেশকিছু স্থানে তা ছিলো বেশ সময়সাপেক্ষ৷
1311 সালের প্রথম দিকে, মালিক কাফুর একটি বিশাল সেনাবাহিনী নিয়ে ডেক্কনে পৌঁছেছিলেন।  ফেব্রুয়ারিতে, তিনি 10,000 সৈন্য নিয়ে হোইসালার রাজধানী দ্বারসামুদ্রকে ঘেরাও করেছিলেন এবং হোয়াসালার রাজা বল্লালাকে দিল্লী সুলতানের অধিনস্ত হতে বাধ্য করেছিলেন।

এই সময়ে, হোয়াসালা ভূখণ্ডের দক্ষিণে অবস্থিত পান্ড্য রাজ্যটি রাজনৈতিক উত্তেজনার মধ্যে ছিল।  রাজা মারাভর্মণ কুলশেখরার মৃত্যুর পরে, তাঁর পুত্ররা বীরা এবং সুন্দ্রা পান্ড্য একে অন্যের সঙ্গে  যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছিলেন। পরবর্তী কালের ইতিহাসে বলা হয়েছে যে সুন্দ্রা মালিক কাফুরের সাহায্য চেয়েছিলেন। সেই সুযোগে মালিক কাফুর পাণ্ড্য অঞ্চলে  আক্রমণ শুরু করেছিলো।
মালিক কাফুর  ১৩ ই মার্চ দ্বারসামুদ্র থেকে পাণ্ড্য অঞ্চলে (মুসলিম ইতিহাসে মাবার নামে পরিচিত) যাত্রা শুরু করেছিলেন এবং পাঁচ দিন পরে পাণ্ড্য সীমানায় পৌঁছেছিলেন।
দিল্লি সেনাবাহিনী জানতে পেরেছিল যে বারমতপুরের শহরটি একটি সোনালী মন্দির ছিল, যার মধ্যে কয়েকটি রাজকীয় হাতি তার চারপাশে ঘুরে বেড়ায়। কৃষ্ণস্বামী আয়েঙ্গার বারমতপুরীকে "ব্রহ্মপুরম" (চিদাম্বরম) হিসাবে চিহ্নিত করেছেন, যার নটরাজ মন্দির টিতে একটি সোনালী সিলিং ছিল।
দিল্লি সেনাবাহিনী মধ্যরাত্রে বারমতপুরী পৌঁছেছিল, এবং পরের দিন সকালে ২50 হাতি দখল করে। আক্রমণকারীরা তখন সোনালী মন্দিরটি লুট করে, যার সিলিং এবং দেওয়াল রুবি ও হীরাগুলি দ্বারা খচিত ছিল।তারা সব শিবের লিংগমকে ধ্বংস করে দিল ।নারায়ণ (বিষ্ণু) এর একটি মূর্তি ভেঙ্গে ফেলে

মাদুরাই
বারমতপুরী থেকে, দিল্লি সেনাবাহিনী  বারদুলের ক্যাম্পে ফিরে গেল। যেখানে আক্রমণকারীরা ভিরা পাণ্ডিয়া র মন্দির ধ্বংস করে।তারপর দিল্লি বাহিনী কামনুম (কাদম্বানামের দ্বারা  চিহ্নিত) এসে পৌঁছেছিল। 5 দিন পর, তারা মাদুরাই পৌঁছেছিল  (সুন্দ্রা পণ্ডিয়ানের রাজধানী)। সূন্দ্রা পাণ্ডিয়া ইতিমধ্যে তার রানীদের সাথে শহরটি ছেড়ে পালিয়ে যায়। দিল্লি সেনাবাহিনী প্রথমে "জাগনার" মন্দির পরিদর্শন করেছিল, সেখানে হাতি ও ধন-সম্পদ খুঁজে বের করার আশায় গিয়েছিল।মালিক কাফুর হতাশ  হয়েছিল, কারণ মন্দিরের মাত্র 2-3 হাতি বাকি ছিল। এটা তাকে এত রাগান্বিত করে যে, তিনি মন্দিরে আগুন লাগিয়ে দেন।

রামেশ্বরম
আলাউদ্দিন  খিলজী র কবি ও জীবনী লেখক আমির খসরুউয়ের মতে, দিল্লি সেনাবাহিনী 512 টি হাতি, 5000 ঘোড়া এবং 500 মন এরও বেশি সোনা ও বহুমূল্য পাথর লাভ করেছিল , যা ছিল হোয়সালাস ও পণ্ডিয়াদেরর বিরুদ্ধে তার দাক্ষিণাত্য অভিযানের ফল। ।                    অন্য মতে লুটটি 612 হাতি অন্তর্ভুক্ত ছিল; 20,000 ঘোড়া; এবং 96,000 মন  সোনা।
এটা ছিলো মুসলিমদের দিল্লি বিজয় এর পর সবছেয়ে বড় লুঠ।
কাফুরের প্রস্থান করার পর, পান্ডিয়া ভাইরা তাদের দ্বন্দ্ব শুরু করে।
এই দ্বন্দ্বের ফলে সুন্দ্রা পণ্ডিয়াকে পরাজিত হতে হয়।। আলাউদ্দিনের বাহিনীর সাহায্যে তিনি 1314 সালের মধ্যে দক্ষিণ আর্কোট অঞ্চলে তার শাসন পুনরায় প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হন



Column Right

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

on this day

Recents

{getWidget} $results={3} $label={recent} $type={list}

Recent in website

Main Tags

Categories

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

Mobile Logo Settings

Mobile Logo Settings
image

Categories

Main Tags

history (3) Temple (1)

Translate

Facebook

https://www.facebook.com/Tathabangla/

Comments

{getWidget} $results={3} $label={comments} $type={list1}

Cricket

{getBlock} $results={5} $label={Cricket} $type={gallery} $color={#1abc9c}

DiDUKUNG

{getFeatured} $label={Technology} $type={featured1}

history

{getBlock} $results={5} $label={history} $type={videos} $color={#1abc9c}

JSON Variables

Partner

{getWidget} $results={3} $label={comments} $type={list}